Friday, 06 June, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

বরগুনায় নদীর পানি বিপদ সীমার ওপরে : তলিয়ে গেছে ফেরিঘাট

তামান্ন জেনিফার,বরগুনা:

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - জেনিফার

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বড়ইতলা ফেরিঘাটের সড়ক। পারাপারে বন্ধ রয়েছে যানবাহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল থেকে পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

আবহাওয়ার  বিশেষ সতর্ক বার্তায় নদী বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোয়ারের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় প্লাবিত হয়েছে বরগুনার নিম্নাঞ্চল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার দুপুর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। রাত থেকে বৃষ্টি বাড়তে থাকে এবং ক্রমশই সেটি ভারি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারি বৃষ্টি ও হালকা ধমকা বাতাস বইছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বড়ইতলা ফেরিঘাটের সড়ক। এতে ফেরির মধ্যে আটকা পড়েছে যানবাহন।

এ বিষয়ে বড়ইতলা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হোসেন  বলেন, ‘প্রতিবছর এমন দুর্যোগে আমরা ভোগান্তিতে পড়ি। নদীর পাশে থাকা একটি খাল দিয়ে পানি প্রবেশ করে পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়। আজকের জোয়ারে আমাদের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো রকমে রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছি, খাওয়ার কিছু নেই।’

ফেরি পার হতে এসে পাথরঘাটার সবুজ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘সকালে আমি বরগুনাতে আসছিলাম কাজে এখন এসে দেখি এখানে কোমর সমান পানি। ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে শুধু খেয়া চলছে। এ দুর্যোগে এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পার হতে হবে।’

স্থানীয় দোকানদার রিয়াজ জানান, ‘অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে দোকান প্লাবিত হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত হানে, তাহলে আর কিছুই থাকবে না। রাতের বেলা পানি আরও বাড়তে পারে।’

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর স্বেচ্ছাসেবক সহিদুল ইসলাম স্বপ্ন বলেন, আমাদের এলাকার বড়ইতলা ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে টি নিচু তাই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় আর ঘূর্নিঝড়ের সময় তো  কোমড় সমান পানি হয়,পুরুষ মানুষ যে কোন ভাবে পাড় হয় কিন্তু নারীদের অবস্থা তো খুবই বেহাল হয়। যানবাহন পারাপারের হয় ভোগান্তি, এখানের কিছু স্থানীয় দোকান আছে যাদের জীবন জীবিকা হয় এ দোকান থেকে তাদের পানির তোরে ভেসে যেতে হয়।তাই এই গ্যাংওয়েটা আরও উচু করতে হবে তাহলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে। 

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম সরেজমিনে বড়ইতলা ফেরিঘাট পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু এলাকায় গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়মিত মনিটর করা হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্র এবং স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত আছে। শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে এবং প্রয়োজনে দ্রুত বিতরণ করা হবে।’

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত